Reading Time: 2 minutes

পৃথিবীর মিল্কিওয়ে ছায়াপথ থেকে দুই কোটি ৯০ লাখ আলোকবর্ষ দূরে আইসি ৫৩৩২ ছায়াপথের অবস্থান। আকারে মিল্কিওয়ের চেয়ে খানিকটা ছোটো। এবার মহাকাশের বিস্মিত হবার মত এক ছবিতে পড়েছে নাসা ও ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের চোখে ধরা পড়েছে আইসি ৫৩৩২ ছায়াপথের মহাজাগতিক “bones‘’। ছবিতে আইসি ৫৩৩২ কে দেখে মনে হয় যেন মহাকাশ থেকে রঙিন জলের ঘূর্ণিপাকের আলোকচিত্র পাঠিয়েছে জেমস ওয়েব।

ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি বা ইএসএ মঙ্গলবারে এক বিবৃতিতে ওই ছবির ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছে, প্রায় সরাসরি পৃথিবীর দিকে মুখ করে থাকায় এ ছায়াপথের আলাদা গুরুত্ব আছে বিজ্ঞানীদের কাছে। এ কারণেই তারা ছায়াপথটির প্যাঁচানো বাহুগুলোর সমতায় মুগ্ধ হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। ছবিতে উঠে আসা আইসি ৫৩৩২ এর সঙ্গে হাবল টেলিস্কোপের তোলা ছবির তুলনা করে দেখিয়েছে ইএসএ। হাবলের ছবিতে মহাকাশের অন্ধকার অঞ্চল হিসেবে উঠে এসেছে ধুলার আবরণে ঢাকা পড়া অংশগুলো। 

প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট বলছে, এ ঘটনায় জেমস ওয়েব ও হাবল টেলিস্কোপের জুটি বেঁধে কাজ করার সক্ষমতাই উঠে এসেছে। দুই টেলিস্কোপের ছবিগুলোর তুলনা করে ইএসএ বলেছে, ছবিগুলো একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে অসাধারণ কাজ করছে। উভয়েই আইসি ৫৩৩২ এর কাঠামো এবং গঠন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছে। ইএসএ বলছে, ওয়েবের ছবিতে আর ধুলার আবরণে ঢাকা পড়ে নেই ওই অঞ্চলগুলো। ছায়াপথটি থেকে আসা মিড-ইনফ্রারেড আলো ধুলার স্তর ভেদ করে এসেছে।

নতুন ছবিগুলো প্রকাশের সময় আইসি ৫৩৩২ এর কাঠামোকে রসিকতা করেই ‘bones’ আখ্যা দিয়েছে নাসার ওয়েব টেলিস্কোপ দল। আইস ৫৩৩২ এর bones এর বাহুগুলো স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে ওয়েবের তোলা ছবিতে। এ টেলিস্কোপের মিড-ইনফ্রারেড ইনস্ট্রুমেন্ট বা এমআইআরআই মহাজাগতিক বস্তুগুলোকে দেখে বিশেষ তরঙ্গদৈর্ঘ্যে। এমআইআরআই সেন্সর মহাকাশে ভাসমান ধুলার স্তর পেরিয়ে এমন কাঠামোকেও চিহ্নিত করতে পারে, যা অন্যান্য স্পেস টেলিস্কোপের চোখে অদৃশ্যই থাকে।

কিন্তু এ প্রযুক্তি ব্যবহারের সীমাবদ্ধতাও আছে। কেবল প্রচণ্ড শীতল পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারে এমআইআরআই সেন্সর। তাই এ সেন্সরের জন্য আলাদা কুলিং সিস্টেম আছে ওয়েবের।

সাবস্ক্রাইব করুন The Penguins Club খবরপত্রিকায়

প্রতি শুক্রবার বিশেষ খবর এবং আলোচনায় অংশগ্রহন করতে আপনার ইমেইল দিন।


Tagged:
About the Author

বিগত প্রযুক্তি বিষয়ক লেখালেখি করছি - বাংলা লেখিকা

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.