কোয়ান্টাম কম্পিউটিং প্রযুক্তির সম্ভাবনা ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই প্রচারণা চালাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার এবং বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে জানা গেছে চীনের সার্চ জায়ান্ট বাইদু কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরি করেছে। যার নাম দেয়া হয়েছে “কিয়ানশি”। বৃহস্পিতিবার বাইদুর নতুন আবিষ্কার কিয়ানশি কোয়ান্টাম কম্পিউটার উন্মোচন করেছে। বৃহস্পতিবারের ঘোষণায় বাইদু জানিয়েছে, কিয়ানশির ১০-কোয়ান্টাম-বিট বা কিউবিট সক্ষমতার প্রসেসর আছে।
এর মাধ্যমে কার্যত কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ে সক্ষমতা অর্জনের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় নিজেদের সক্রিয় উপস্থিতির আভাস জানিয়েছে কোম্পানিটি। সার্চ জায়ান্ট কোম্পানিটি জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানের কর্মী নন কিন্তু কোয়ান্টাম কম্পিউটার ব্যবহারের আগ্রহী, তাদের ব্যবহারের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত কিয়ানশি। কিয়ানশির পাশাপাশি ৩৬-কিউবিটের কোয়ান্টাম চিপ উদ্ভাবনের দাবিও করেছে কোম্পানিটি। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় উচ্চ গতিতে হিসেব করার সক্ষমতার ফলে এই প্রযুক্তির অভূতপূর্ব প্রসেসিং গতি অর্জন করতে পারে।
তবে বর্তমান পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত উদীয়মান কোয়ান্টাম কম্পিউটিং প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ খুবই সীমিত। বার্তাসংস্থা রয়টার্স অল্প সংখ্যক আগ্রহী ক্রেতা এই প্রযুক্তির সেবা নেওয়ার কথা জানিয়েছে। এ খাতে ব্যাপকহারে তহবিল সরবরাহ করছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ইউরোপের দেশগুলো। নতুন প্রযুক্তি খাতে অন্যদের আগেই সর্বোচ্চ সক্ষমতা অর্জনের প্রতিযোগিতা চলছে দেশগুলোর মধ্যে। এ খাতে সক্ষমতা অর্জনের মাধ্যমে বৈশ্বিক পর্যায়ে আধিপত্য বিস্তারের স্বপ্ন দেখছে বিভিন্ন দেশের সরকার।
২০২৫ সালে চার হাজার কিউবিট প্রসেসরের নিজস্ব কোয়ান্টাম কম্পিউটারকে বাণিজ্যিক ব্যবহারের উপযোগী করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি জায়ান্ট আইবিএম। তবে, আইবিএম এখন পর্যন্ত ১২৭ কিউবিট প্রসেসরের কোয়ান্টাম কম্পিউটার উন্মুক্ত করেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এছাড়াও, চলতি দশক শেষ হওয়ার আগে ১০ লাখ কিউবিট সক্ষমতার কোয়ান্টাম কম্পিউটার নির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করছে গুগল।
বাজার গবেষক আইডিসির বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ২০২৭ সালের মধ্যে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং খাতে গবেষণা ও নির্মাণের জন্য এক হাজার ছয়শ ৪০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে বিভিন্ন দেশের সরকার এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো।