কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে অন্যতম পরিচিত নাম চিপ নির্মাতা কোম্পানি এনভিডিয়ার প্রধান নির্বাহী জেনসেন হুয়াং। কারণ, এই খাতে ব্যাপকভাবে এনভিডিয়ার চিপ ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে মাইক্রোসফটের একটি সুপার কম্পিউটারও আছে, যা তৈরি হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক স্টার্টআপ ওপেনএআই এর জন্য। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্রমবর্ধমান খাতে বিভিন্ন শক্তিশালী টুল তৈরি হতে পারে, যা চালানোর জন্য আইনি ও সামাজিক নীতিমালার প্রয়োজন পড়বে। এমনই দাবি করেছেন জেনসেন হুয়াং।
গেল সোমবার কোম্পানিটির পেছনে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগের কথাও বলেছে মাইক্রোসফট। মঙ্গলবার সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কথা বলেন হুয়াং। এতে বিভিন্ন সুইডিশ কর্মকর্তা বলেন, তারা এনভিডিয়ার বিভিন্ন টুল ব্যবহার করে সুইডেনের সবচেয়ে দ্রুতগতির সুপারকম্পিউটারে আপগ্রেড আনছেন। এর পাশাপশি, তারা বড় একটি ভাষা ভিত্তিক মডেল তৈরি করছেন, যা সুইডিশ ভাষায় সাবলীলভাবে কথা বলতে পারে।
নিজেকে এক ধাপ পিছিয়ে নিয়ে খেয়াল করে দেখুন, যে বিষয়গুলো সমাজের জন্য সুবিধাজনক, সক্ষমতা দেয় বা বিস্ময়কর এগুলোর প্রত্যেকেরই সম্ভবত ক্ষতিকর দিকও আছে বলেন জেনসেন হুয়াং। তিনি আরও বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বেলায় বিভিন্ন আইন ও সামাজিক নীতিমালা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি ব্যবহারের সামাজিক নীতিমালা কী এবং এটি ব্যবহারের আইনি মানদণ্ডগুলো কী কী, সেটিও তৈরি করতে হবে। এখন সবকিছুই বিবর্তিত হচ্ছে।
তারা প্রত্যেকে যে এটি নিয়ে কথা বলছেন, পরবর্তীতে তা ভালো একটি অবস্থানে পৌঁছাতে সহায়তা করবে তাদের। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ন্ত্রণে একটি ফেডারেল সংস্থা তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নির্বাচিত কিংগ্রেস সদস্য টেড লিউর মতো আইন প্রণেতারা।
সোমবার মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক মতামত সংখ্যায় লিউ যুক্তি দেখান, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর ব্যবহৃত ‘ফেসিয়াল রেকগনিশন’ ব্যবস্থা বিভিন্ন সংখ্যালঘু দলের নিরপরাধ ব্যক্তিদের ভুলভাবে শনাক্ত করতে পারে।
হুয়াং বলেন, প্রকৌশল মান বিষয়ক সংস্থাগুলোকে সুরক্ষিত এআই ব্যবস্থার বিভিন্ন মানদণ্ড দাঁড় করাতে হবে, ঠিক যেমন চিকিৎসা সংস্থাগুলো চিকিৎসাশাস্ত্রে নিরাপদ অনুশীলনের জন্য নিয়ম তৈরি করে।