অক্টোবরের শেষে চার হাজার চারশ কোটি ডলারে সামাজিক প্ল্যাটফর্মটি কেনার পর কোম্পানির আট হাজার কর্মীর প্রায় অর্ধেকই অপসারণ করেন ইলন মাস্ক। এছাড়া একাধিক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি, যা নিয়ে এখনো সমালোচনা চলছেই। ইলন মাস্কটুইটার অধিগ্রহণের পর থেকে প্ল্যাটফর্মটিতে ব্যাপক হারে আপত্তিকর ভাষার ব্যবহার বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা সেন্টার ফর কাউন্টারিং ডিজিটাল হেটের বা সিসিডিএইচ এর এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
শনিবার ৩ ডিসেম্বর মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। উক্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে ২০২২ সালে মাস্কের অধিগ্রহনের আগে ও পরে প্রতিদিনের গড় হিসাবে টুইটারে- N word এর দৈনিক ব্যবহার বেড়েছে তিন গুণ। “কান্ট” শব্দের দৈনিক ব্যবহার বেড়েছে ৩৩%। “ফ্যাগট” শব্দটির ব্যবহার বেড়েছে ৫৮% এবং “ট্রানসি” শব্দের ব্যবহার বেড়েছে ৬২%। ইলন মাস্কের টুইটার দখলের তিন মাস আগে, গড় হিসাবে প্রতি মাসে ২ লাখ ২২ হাজার ৭০০ জন ফলোয়ার পেয়েছে এই ধরনের ভাষা সর্বাধিক ব্যবহার করা ১০টি অ্যাকাউন্ট।
ইলন মাস্কের অধিগ্রহণের মাসে, ওই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৯ লাখ ৪৪ হাজার ২০৫ জন ফলোয়ারে, যা আগের চেয়ে ৩২০% বেশি। গত ১৯ নভেম্বর কলোরাডো স্প্রিংস হামলা নিয়ে “এলজিবিটিকিউ বিরোধী” বিভিন্ন টুইট খুঁজে দেখেন গবেষকরা। ওই ঘটনায় এক “এলজিবিটিকিউ” ক্লাবে পাঁচজন ব্যক্তি নিহত হন। ব্যাপকভাবে প্রচলিত নারী-পুরুষ সম্পর্কের বাইরের লোকজন “এলজিবিটিকিউ” নামে পরিচিত; যার পূর্ণ রূপ “লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল, ট্রান্সজেন্ডার অ্যান্ড কুইয়ার”।
এই তালিকার বাইরে আরও সম্পর্কের ধরন বুঝাতে এতে পরে যোগ চিহ্ন যুক্ত হয়। এই শ্রেণিভুক্ত যারা আছেন তারা নিজেদের “নন-বাইনারি” বলে পরিচয় দেন। টুইটার দলকে অভিনন্দন জানিয়ে ইলন মাস্কের টুইটের মাত্র কয়েকদিন পরেই এই খবর এলো। ওই টুইটে তিনি উল্টো দাবি করেছিলেন, আগের তুলনায় প্ল্যাটফর্মটিতে ঘৃণাবাচক বক্তব্য কমেছে এক-তৃতীয়াংশ। ১৮ নভেম্বরের সেই টুইটে তিনি আরও দাবি করেন, টুইটারের নতুন নীতি বাক স্বাধীনতার সমর্থক হলেও নাগালে পৌঁছানোর স্বাধীনতা নয়।
ঘৃণাবাচক টুইটে বুস্ট ও মনিটাইজ না করার সর্বোচ্চ পদক্ষেপ থাকবে। ফলে, কোনো বিজ্ঞাপনী বা অন্যান্য আয় আসবে না। বিশেষভাবে না খুঁজলে আপনি সেই টুইটের দেখাও পাবেন না।