Reading Time: 6 minutes

সম্প্রতি মেটা প্রতিষ্ঠান ইনস্টাগ্রামে এনএফটি সেবা যোগ করতে চলছে। মেটা প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ইনস্টাগ্রামে এনএফটি সেবা যোগ হবার কথা বলেন। সাউথ বাই সাউথওয়েস্ট সম্মেলনের অংশ হিসেবে আয়োজিত এক আলোচনায় জাকারবার্গ বলেছেন যে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে কিছু এনএফটি আনার সুযোগ হবে এবং আশা করছি সময়ের সঙ্গে তারা এই পরিবেশেই নতুন কিছু মিন্ট করতে পারবেন। যদিও তিনি ইনস্টাগ্রামে এনএফটি সেবা কেমন হবে বা সেবাটি ঠিক কী ভাবে কাজ করবে সে বিষয়ে বিস্তারিত এখনো জানাননি।

প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জের প্রতিবেদন বলছে, ইনস্টাগ্রামে এনএফটি সেবা যোগ হওয়ার আলাপ আলোচনা শোনা যাচ্ছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। ইনস্টাগ্রাম প্রধান অ্যাডাম মোসেরি গেল বছরেই তার কর্মীরা সক্রিয়ভাবে এনএফটি প্রযুক্তি বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখছেন বলে জানিয়েছিলেন। তবে তিনি কোন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেননি। বিগত জানুয়ারি মাসেই ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম নিজস্ব প্ল্যাটফর্মে এনএফটি সমন্বয়ের চেষ্টা করছে এমন খবর এসেছিল। প্রোফাইল হিসেবে এনএফটি ব্যবহারের ফিচারে বড় অগ্রগতির বিষয়টি নিয়ে তখন ব্যাপক আলোচনা হয়েছিল।

এ ছাড়াও উভয় প্ল্যাটফর্মে এনএফটি মিন্ট করার ফিচার এবং আনুসাঙ্গিক মার্কেটপ্লেস তৈরি হচ্ছে বলেও শোনা গিয়েছিল। ভার্জ বলছে যে জানুয়ারি মাসের প্রতিবেদনগুলোতে যে ফিচারগুলোর কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে অন্তত দুটির স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে জাকারবার্গের বক্তব্যে। তবে ইনস্টাগ্রাম প্ল্যাটফর্মে এনএফটি মিন্ট করার প্রক্রিয়াটি এখনো পরিষ্কার নয়। জাকারবার্গ সাউথ বাই সাউথওয়েস্ট সম্মেলনে মেটাভার্স ব্যবহারকারীর অ্যাভাটারের পোশাক এনএফটি হিসেবে মিন্ট করার কথা বলেছেন। এনএফটি সমন্বয়ের পথে হাঁটছে এমন সামাজিক মাধ্যমগুলোর মধ্যে ইনস্টাগ্রাম কিন্তু প্রথম নয়।

বছরের শুরুতেই টুইটার প্রোফাইল পিকচারের স্থানে এনএফটি ব্যবহারের ফিচার চালু করেছে। এনএফটির বেলায় মিন্ট বা মিন্টিং শব্দগুলো দিয়ে নতুন কোনো এনএফটি তৈরি করা বা বিদ্যমান কোনো ডিজিটাল কনটেন্টকে এনএফটিতে পরিণত করার প্রক্রিয়াকেই বোঝায়। ভার্জের প্রতিবেদনে জানা যায় যে ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামের নিজস্ব প্ল্যাটফর্মে এনএফটি মিন্ট করার ফিচার যোগ হতে আরও সময় লাগবে। যে মার্কেটপ্লেসের কথা বলা হচ্ছে, সেটি আরও দূরের বিষয় বলে সাইটটি মন্তব্য করেছে। তবে ভার্জ জানায় যে এই পরিকল্পনাতেও মেটাভার্স প্রকল্পের সংশ্লিষ্টতা আছে।

জনপ্রিয় পোস্টেগুলোকে এনএফটি হিসেবে বিক্রি করা যাবে, না কি নির্দিষ্ট স্টোরি দেখার বিশেষ পাস হিসেবে ব্যবহৃত হবে এনএফটিগুলো জাকারবার্গের বক্তব্যের ভিত্তিতে এমন নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এর আগেও জাকারবার্গ মেটাভার্সে এনএফটির সম্ভাব্য ব্যবহার নিয়ে মুখ খুলেছেন। কিন্তু তার সাম্প্রতিক বক্তব্য ইঙ্গিত করছে, যে জাকারবার্গ দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে সম্ভবত এনএফটিকে ডিজিটাল বস্তু হিসেবে বিবেচনা করছেন। তিনি এনএফটিকে ডিজিটাল জগৎ পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের আনুসাঙ্গিক হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন। ভার্জের প্রতিবেদন বলছে, প্রথমত এনএফটিগুলো যেন সব প্ল্যাটফর্মে সমন্বিত হতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে মেটাকে।

তবে, মেটা প্রতিষ্ঠাতা এই পরিকল্পনা কার্যকর হওয়ার আগে আরও বেশ কিছু কারিগরি জটিলতার সমাধান করতে হবে বলে জানিয়েছেন। কিছুদিন আগেই আবার লাইভস্ট্রিমে ঘোষণা দেওয়ার সময় ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ বিল্ডার বট নামের একটি এআই ফিচারের কার্যক্ষমতা দেখিয়েছেন। ফিচারটি ব্যবহার করে তিনি গাছপালা, সমুদ্র সৈকত ওএকটি দ্বীপ আছে এমন একটি ভার্চুয়াল জগৎ তৈরি করে দেখান। বিবিসি এক প্রতিবেদনে বলছে।যে বিল্ডার বট মেটার এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রযুক্তি আরো উন্নত করার লক্ষ্যে পরিচালিত কেয়ারআওকি প্রকল্পের অংশ ছিল।

এ ছাড়াও ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা এআই নির্ভর ইউনিভার্সাল স্পিচ ট্রান্সলেটর নির্মাণের ঘোষণাও দিয়েছেন। তিনি বলেন যে কারো সঙ্গে যে কোনো ভাষায় কথা বলার সক্ষমতা আসলে একটি সুপারপাওয়ার।

সাধারণ ব্যবহারকারীরা ভিআর হেডসেট বা গ্লাস ব্যবহার করে যখন ভার্চুয়াল জগতে প্রবেশ করবেন, তখন এআইগুলো আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে পৃথিবীকে দেখার সুযোগ পাবে বলে জাকারবার্গ মন্তব্য করেছেন। গেল ১০ বছর ধরেই ফেসবুক এআই প্রকল্পে বিনিয়োগ করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি এই খাতের বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞদের একজন ইয়ান লেকুন-কেও এআই বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। এ ছাড়াও মেটার চালিকাশক্তি হিসেবে ব্যবহৃত এআই ব্যবস্থা ভার্চুয়াল দুনিয়ায় গোপনীয়তা রক্ষা করবে, স্বচ্ছতা বজায় রাখবে এবং দায়িত্বশীল হবে বলে জাকারবার্গ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

এ বছরের জানুয়ানি মাসেই নতুন এআই সুপার কম্পিউটার নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির দাবি ২০২২ সালের মাঝামাঝি নাগাদ নির্মাণ কাজ শেষ হলে এটি বিশ্বের সর্বোচ্চ গতির সুপার কম্পিউটার হবে। গেল বছরের অক্টোবরে ফেসবুক নাম পাল্টে মেটা হয়েছে। নাম পাল্টানোর পর থেকে মেটাভার্স নিয়ে জাকারবার্গ ও তার প্রতিষ্ঠান বেশ জোরালোভাবেই প্রচারণা চালাচ্ছেন। এই প্রকল্প ত্বরান্বিত করতে ইউরোপে ১০ হাজার নতুন কর্মী নিয়োগ দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছে। জাকারবার্গ মেটাভার্স এর জন্য সম্প্রতি কয়েকটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী এআই প্রকল্পের ঘোষণা দিয়েছেন।

পাশাপাশি তিনি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই প্রযুক্তিকে মেটাভার্সের চাবিকাঠি বলে আখ্যা দিয়েছেন। মেটার প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা অ্যান্ড্রু বসওর্থ মেটাভার্স নিয়ন্ত্রণ অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের থেকে আরো কঠিন হবে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন। অন্যদিকে তিনি মেটাভার্সে ব্যবহারকারীদের হাতে আরো বেশি নিয়ন্ত্রণ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ও হয়েছেন। 

বিগত সময় ধরে মেটার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠে আসছে। মেটার খারাপ সময় এবার হয়তো আর শেষ হবার নয়। বিগত ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারীদের কাছে মিথ্যাচারের অভিযোগ উঠেছিল।

বিজ্ঞাপন (কেন?)

কোভিড-১৯ নিয়ে ভুয়া তথ্যের প্রচার আর জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় নিজেদের তৎপরতা নিয়ে মেটা বিনিয়োগকারীদের ভুল তথ্য দিচ্ছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে নতুন দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট এক প্রতিবেদনে জানায় যে ফেব্রুয়ারী মাসেই নতুন অভিযোগ দুটি আনা হয়েছে। মেটার বিরুদ্ধে নতুন যে দুটি অভিযোগ আনা হয়েছে তার মধ্যে প্রথম হচ্ছে ফেসবুক কর্মচারীরা জলবায়ু পরিবর্তনের বৈশ্বিক সঙ্কট সম্পর্কিত মিথ্যা তথ্যের প্রচার বন্ধে নিজেদের প্রতিশ্রুতির কথা বললেও তার কিছুই তারা করেনি।

প্ল্যাটফর্মটিতে এ ধরনের মিথ্যা প্রচারের উপস্থিতি বিপুল পরিমাণে উপস্থিত ছিল। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে সংগঠনটি বলছে ফেসবুকের কর্মকর্তারা কোভিড মহামারী সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ও মিথ্যাচার প্রচার বারবার মুছে দেওয়ার কথা বললেও প্রতিষ্ঠানটি অভ্যন্তরীণ নথিপত্র বলছে প্ল্যাটফর্মটিতে ব্যাপক হারে কোভিড নিয়ে মিথ্যাচার এখনো অধিক পরিমাণে ছড়িয়ে আছে। সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) এর কাছে হুইসেলব্লোয়ার এইড নামের একটি অলাভজনক সংগঠন নতুন অভিযোগ দুটি এনেছে। সংগঠনটি অভিযোগ করেছে যে মেটা তথ্য এবং উপাত্ত ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে এবং বিনিয়োগকারীদের দেওয়া প্রতিবেদনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চেপে গেছে।

মেটার তথ্য ফাঁসকারী সেই সাবেক কর্মী ফ্রান্সেস হাউগেন সংগঠনটি প্রতিনিধিত্ব করছেন। হুইসেলব্লোয়ার এইড এসইসি এর কাছে নতুন অভিযোগ দায়ের করার খবর নিশ্চিত করেছে। প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিনিয়োগকারীদের সঠিক তথ্য পাওয়ার অধিকার রয়েছে বলে সংঘঠনটি মন্তব্য করেছে। বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং মিথ্যাচার মোকাবেলায় ফেসবুক যথেষ্ট হেয়ালিপনা করে যাচ্ছে এমন অভিযোগ বেশ কয়েক বছর ধরেই শোনা যাচ্ছে। ২০২১ সালে হাউগেন ফেসবুক প্রতিষ্ঠান মেটা সম্পর্কে গোপন সব তথ্য ফাঁস করেছিলেন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র হাউগেনের কাছ থেকে পাওয়া নথিপত্রের ভিত্তিতে সিরিজ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।

হাউগেন ২০২১ এর দিকে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ সব কূকর্ম, কর্মীদের উপর নির্যাতন, মুনাফার লোভে ব্যবহারকারীদের ভালো-মন্দ ব্যাপারে গুরুত্ব না দেয়াসহ আরো নানান রকম অজানা তথ্য এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে তুলে ধরেন। এরপর থেকেই মেটার খারাপ সময় শুরু। কিন্তু ফেসবুক দাবি করে আসছে অভ্যন্তরীণ নথিপত্র ভুলভাবে উপস্থাপন করে প্রতিষ্ঠানটির জনপ্রিয়তাকে তারা নষ্ট করতে চাচ্ছে। শুক্রবার প্রতিষ্ঠানটির একজন নির্বাহী দাবি করেন যে তার প্রতিষ্ঠান ভুয়া তথ্যের প্রচার বন্ধে বদ্ধপরিকর এবং তাদের প্রতিষ্ঠান স্বাধীন তথ্য যাচাইকারীদের সঙ্গে কাজ করে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির দাবি যে ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে তাদের ৪০ হাজার কর্মী কাজ করছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি এই খাতে এক হাজার ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের দাবিও করেছে। এছাড়া মেটা বলে মিথ্যা তথ্যের প্রচার বন্ধে সার্বিকভাবে প্রযোজ্য এমন একক কোনো সমাধান নেই। কিন্তু এটি মোকাবেলা করতে মেটা নতুন নতুন টুল এবং নীতিমালা প্রয়োগে সমসময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইমেইল মাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ আইনজীবি অ্যান্ড্রু বাকাজ বলেন যে এসইসি এর কাছে জমা দেওয়া নথিপত্র থেকে এটা পরিষ্কার যে, জলবায়ু পরিবর্তন এবং কোভিড মিথ্যাচার মোকাবেলা প্রসঙ্গে ফেসবুক দুই রকম কথাবার্তা বলেছে।

ব্যক্তি পর্যায়ে ফেসবুক এক কথা বলছিল এবং জনসম্মুক্ষে ভিন্ন কথা বলছিল। তবে, এ প্রসঙ্গে এসইসি কোন মন্তব্য করেনি। এই দুটি অভিযোগ ছাড়াও ফেসবুক এরকম অসংখ্য প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছিল। তবুও তারা কোন কাজের কাজ কিছুই করেনি। মেটাভার্স ভি-আর প্রজেক্টি নিয়ে প্রতিশ্রতি যা দিয়েছিল তা সম্পর্কেও এখনো কোন খবর পাওয়া যায়নি, এমনকি মেটাও এ নিয়ে কোন কথাও বলছে না। তার মধ্যে এআই ফিচারের বিল্ডার বট আনার উদ্যোগ টা কেবল লোক দেখানো কিনা বা তাদের আগের জনপ্রিয়তাকে ফিরে পাওয়ার মিথ্যা কোন উপায় বের করেছে কিনা সেটাই এখন সন্দেহের বিষয়।

মেটার্ভার প্রতিশ্রুতি বিষয়ে তরুণ প্রজন্ম এখন ক্ষুব্ধ। বিগত ১১ বয়সী এক বাচ্চা ইন্সটাগ্রাম আসক্ত এবং তার স্পর্শকাতর ছবি তার বন্ধুরা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়াতে আত্নহত্যার শিকার হয়। অযৌক্তিক এবং অপ্রাপ্তবয়ষ্কদের জন্য বিজ্ঞাপন প্রচারের অভিযোগে মেটার বিরুদ্ধে বাচ্চার মা মামলা করেন। এটি নিয়েও মেটা তখন কিছু বলতে চায়নি। মুনাফা অর্জনের লোভে বড় বড় সমস্যাগুলো মেটার গুরুত্ব না দেয়ায় অনেক আলোচনা ও সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে।

সম্প্রতি মেটার ২৬ শতাংশ শেয়ার ধ্বস ঘটে। কোম্পানির বাজারমূল্য বর্তমানে কমে গয়ে ২৩০ বিলিয়ন ডলারে পৌছেছে।

বর্তমানে টিকটকের ব্যবহারকারীর সংখ্যা একশ কোটির বেশি এবং তা দ্রুত বেড়ে চলেছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে জাকারবার্গ বলে আসছেন তাদের অন্যতম কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে চীনভিত্তিক ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক। টিকটককে আটকাতে ফেসবুক এই অ্যাপকে নকল করে ইনস্টাগ্রাম রিল তৈরি করে আসছে। এছাড়াও তিন মাসের মধ্যে ফেসবুকে অ্যাক্টিভ ইউজার কমে গিয়ে দশ লাখে পৌঁছেছে। দীর্ঘ ১৭ বছরে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই অবস্থার বিষয়টি সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।

সাবস্ক্রাইব করুন The Penguins Club খবরপত্রিকায়

প্রতি শুক্রবার বিশেষ খবর এবং আলোচনায় অংশগ্রহন করতে আপনার ইমেইল দিন।


Tagged:
About the Author

বিগত প্রযুক্তি বিষয়ক লেখালেখি করছি - বাংলা লেখিকা

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.