সম্প্রতি স্পেস ডটকম জানিয়েছে যে তিয়ানওয়েন ৪ নামক মিশনে ইউরেনাস ও জুপিটার পর্যবেক্ষণের জন্য চীন একই রকেটে দুটি মহাকাশযান উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করছে। দুটি মহাকাশযানের মধ্যে আকারে বড়টির মূল লক্ষ্য হবে জুপিটার বা বৃহস্পতি গ্রহ। আর আকারে ছোটটি পাঠানো হবে আরও দূরের ইউরেনাসের দিকে। চায়না ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা সিএনএসএএই উচ্চাভিলাসী পরিকল্পনা ২০৩০ সাল নাগাদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে।
২১ সেপ্টেম্বর প্যারিসে ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনটিকাল কংগ্রেসে এ উচ্চাভিলাসী পরিকল্পনার কথা জানান সিএনএসএর ‘লুনার এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড স্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং সেন্টার এর গবেষক ওয়াং চ্যাং। মহাকাশযান দুটির যাত্রা শুরু হবে লং মার্চ ৫ রকেটে চড়ে। নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে আলাদা হওয়ার আগে শুক্র গ্রহের পাশ দিয়ে একবার আর পৃথিবীর পাশ দিয়ে দুবার উড়ে যাবে মহাকাশযান দুটি। বৃহস্পতি পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে নতুন মিশনের পরিকল্পনা করার কথা চীন আগেই জানিয়েছিল।
স্পেস ডটকম জানিয়েছে, মিশন সফল হলে বৃহস্পতির চাঁদ ক্যালিস্টোকে ঘিরে চক্কর দিতে থাকবে চীনের মহাকাশযান। আকারে ছোট দ্বিতীয় মহাকাশযানটির ওজন কয়েকশ কিলোগ্রাম হবে বলে জানিয়েছেন ওয়াং। ইউরেনাসের সীমানায় পৌঁছাতে তুলনামূলক বেশি সময় নেবে এ যানটি। চীন ‘কামোয়েলেওয়া’ গ্রহাণুর উদ্দেশ্যে তিয়ানওয়েন ২ উৎক্ষেপণ করবে ২০২৫ সালে।
তবে, প্রকল্পের প্রথম দুই মিশনের চেয়ে জটিল হবে তিয়ানওয়েন ৩। এ মহাকাশ অভিযান মিশনে মঙ্গল গ্রহ থেকে সংগ্রহ করা নমুনা পৃথিবীতে আনার চেষ্টা করবে সিএনএসএ।
চীনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ২০২৮ সাল নাগাদ তিয়ানওয়েন ৩ উৎক্ষেপণ করতে পারে বলে জানিয়েছে স্পেসডটকম। পরিকল্পনার প্রাথমিক পর্যায়ে চীন বৃহস্পতিতে ল্যান্ডার পাঠানোর বিষয়টিও বিবেচনায় রেখেছিল। তবে ওয়াং জানিয়েছেন, তিয়ানওয়েন ৪ মিশনের পরিকল্পনায় কোনো ল্যান্ডার রাখা হয়নি। ‘তিয়ানওয়েন’ প্রকল্পের অংশ হিসেবে পুরো সৌরজগৎ জুড়ে অনুসন্ধান ও পর্যবেক্ষণ মিশন পরিচালনার পরিকল্পনা করেছে চীন। প্রকল্পের প্রথম মিশন তিয়ানওয়েন ১-এ সফল হয়েছে দেশটি।
২০২০ সালেই মঙ্গলে তিয়ানওয়েন ১ অরবিটার এবং ঝুরং রোভার পাঠিয়েছে সিএনএসএ।