Reading Time: 2 minutes

সাধারণ কম্পিউটারের সক্ষমতার বাইরে বা বর্তমান দুনিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী সুপার কম্পিউটারের যে হিসেব কষতে দীর্ঘ সময় লাগে, এমন জটিল হিসেব কষার গতি কয়েক কোটি গুণ বাড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে কোয়ান্টাম কম্পিউটারের কারণে। এমনই কম্পিউটার নিয়ে এসেছে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস কর্পোরেশন। নিজেদের সবচেয়ে শক্তিশালী কোয়ান্টাম কম্পিউটারের ঘোষণা দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস কর্পোরেশন বা আইবিএম

কোয়ান্টাম কম্পিউটারের সক্ষমতার একক কোয়ান্টাম বিট বা কিউবিট। আইবিএম ছাড়াও কোয়ান্টাম কম্পিউটার নির্মাণ করছে প্রযুক্তি শিল্পের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান, এদের প্রত্যেকেই নিজস্ব কোয়ান্টাম কম্পিউটারের সক্ষমতার মাত্রা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন দাবি করে। গত বছরের ‘ইগল’ কোয়ান্টাম কম্পিউটারের চেয়ে তিন গুণ শক্তিশালী ৪৩৩ কিউবিটের ‘অসপ্রে’ চিপ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ২০টির বেশি সুপারকম্পিউটার আছে আইবিএমের।

সেবাগ্রাহকরা চাইলে ক্লাউডের মাধ্যমে সুপারকম্পিউটারগুলো ব্যবহার করতে পারেন। ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ অসপ্রে পুরোপুরি চালু করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে আইবিএম। এ ছাড়াও, একাধিক কোয়ান্টাম সিস্টেম টু একে অন্যের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে ‘কোয়ান্টাম কেন্দ্রীক সুপাকম্পিউটিং’ কাঠামো নির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে কোম্পানিটি। তিনটি কোয়ান্টাম সিস্টেম টু জুড়ে দিয়ে ১৬ হাজার ৬৩২ কিউবিটের কোয়ান্টাম কম্পিউটার নির্মাণের সুযোগ আছে বলে দাবি করেছে আইবিএম।

এ প্রযুক্তি নিয়ে আইবিএমের অগ্রগতি প্রসঙ্গে কোম্পানির গবেষণা বিভাগের পরিচালক দারিও গিল বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এক হাজার কিউবিটের কোয়ান্টাম কম্পিউটার নির্মাণের পথে আছে আইবিএম এবং এই লক্ষ্য অর্জনে একটি নতুন কৌশল নিয়ে কাজ করছে তার কোম্পানি। দারিও গিল বলেন, অসপ্রে চিপের যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, এর সক্ষমতা যতটা সম্ভব বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

পাশাপাশি যদি খেয়াল করে দেখেন কেউ এটি ইতোমধ্যেই আকারে বেশ বড়। আগামী বছরে এক হাজার কিউবিটের চিপ আরও বড় হবে। তাই এরপরের পদক্ষেপ হিসেবে মডিউলারিটিকে কেন্দ্র করে কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের একেবারে নতুন কাঠামোর নকশা ও নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে। মডিউলারিটির মানে হচ্ছে, চিপগুলো একে অন্যের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। নতুন এই মডিউলার নির্মাণ কৌশলকে ‘কোয়ান্টাম সিস্টেম টু’ নামে ডাকছে আইবিএম।

কোয়ান্টাম সিস্টেম টু কার্যত বিশ্বের প্রথম মডিউলার কোয়ান্টাম কম্পিউটিং সিস্টেম যেন ব্য়বহারকারী সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বড় সিস্টেম বানাতে পারেন বলে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ‘আইবিএম কোয়ান্টাম সামিট’ এ রয়টার্সকে বলেছেন দারিও গিল।

সাবস্ক্রাইব করুন The Penguins Club খবরপত্রিকায়

প্রতি শুক্রবার বিশেষ খবর এবং আলোচনায় অংশগ্রহন করতে আপনার ইমেইল দিন।


Tagged:
About the Author

বিগত প্রযুক্তি বিষয়ক লেখালেখি করছি - বাংলা লেখিকা

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.