Reading Time: 2 minutes

অ্যাপলের অ্যাপ ট্র্যাকিং ট্রান্সপারেন্সি ফিচারটি অ্যাপলের সেরা ডিভাইসগুলোর আইওএস ১৪ এর আপডেটের পর যুক্ত হয়েছিলো। যার মূল উদ্দেশ্য ছিলো ব্যবহারকারীদের তৃতীয় পক্ষের ট্র্যাকিং থেকে মুক্ত রাখা। কিন্তু একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে এটি নিতান্তই অকেজো।

গবেষণাটি সেপ্টেম্বরে পাবলিশ হয়েছিল। এবং এর উপসংহার এরকম ছিল যে,

“এটি মুক্তি পাওয়ার পাঁচ মাস পর আমরা আমরা অ্যাপ স্টোরের শীর্ষ দশটি অ্যাপ পরীক্ষা করে দেখেছি যে অ্যাপলের “অ্যাপ ট্র্যাকিং ট্রান্সপারেন্সি” ট্র্যাকিং বন্ধ করতে সফল হয় কিনা।

আমরা ওপেন সোর্স লকডাউন প্রাইভেসি অ্যাপ এবং ম্যানুয়াল টেস্টিং এর মাধ্যমে দেখেছি যে অ্যাপ ট্র্যাকিং ট্রান্সপারেন্সি সক্রিয় থার্ড-পার্টি ট্র্যাকারের মোট সংখ্যায় কোন পার্থক্য করেনি এবং ট্র্যাকিং সংযোগ প্রচেষ্টার মোট সংখ্যার উপর খুব সামান্য পরিমাণে প্রভাব ফেলেছিল। আমরা আরও নিশ্চিত করেছি যে, প্রতিক্ষেত্রে বিস্তারিত ব্যক্তিগত বা ডিভাইসের ডেটা ট্র্যাকার গুলোর কাছে প্রেরিত হচ্ছিল। “অ্যাপ ট্র্যাকিং ট্রান্সপারেন্সি” তৃতীয় পক্ষের ট্র্যাকিং বন্ধ করতে কার্যকরীভাবে অকেজো ছিল, এমনকি ব্যবহারকারীরা ‘আস্ক অ্যাপ নট টু ট্র্যাক’ অপশন টি বেছে নেয়ার পরেও।”

আপনি এখানে এর সম্পূর্ণ অধ্যয়ন এবং এর পদ্ধতি পড়তে পারবেন। কিন্তু এলপি অনুসারে, “যখন তৃতীয় পক্ষের ট্র্যাকারগুলি বন্ধ করার কথা আসে, অ্যাপ ট্র্যাকিং ট্রান্সপারেন্সি একটি সম্পূর্ণ ব্যর্থতা।” লকডাউন প্রাইভেসির মতে এটি আরও গুরুতর একটি ব্যাপার কেনো না ব্যবহারকারীরা “আস্ক অ্যাপ নট টু ট্র্যাক” ট্যাপ করার মাধ্যমে তাদের আস্থা সম্পুর্ণ রুপে অ্যাপলের উপর ছেড়ে দিবে যে তাদের ডেটা গুলো সম্পূর্ণ রুপে সুরক্ষিত আছে। যেখানে তাদের তথ্য গুলো ট্র্যাকার গুলোর কাছে প্রেরিত হচ্ছে। যেখানে এরকম মিথ্যে ফিচার না দেয়া থাকলে হয়তো ব্যবহারকারীরা আরও সতর্ক থাকতো এই ব্যপারে।

অ্যাপলকে ক্লোজ-সোর্স ট্র্যাকারের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিতে হবে, এবং এ ব্যাপারে পরিষ্কার হতে হবে যে “অ্যাপ ট্র্যাকিং ট্রান্সপারেন্সি একটি সম্পূর্ণ বিশ্বাস-ভিত্তিক সিস্টেম” যা তারা সম্পূর্ণ কাজে আনতে পারছে না, এবং ফিচারটির নিজের নামও পরিবর্তন করে ফেলা উচিৎ।

অ্যাপলের সাপোর্ট ডকুমেন্টেশনে বর্তমানে বলা হয়েছে,

বিজ্ঞাপন (কেন?)

“যদি আপনি ট্র্যাক না করার অপশন টি চয়ন করেন তাহলে, অ্যাপ ডেভেলপার সিস্টেমটি বিজ্ঞাপন শনাক্তকারী (IDFA) অ্যাক্সেস করতে পারে না। অ্যাপ বা আপনার ইমেইল ঠিকানার মতো অন্যান্য তথ্য যা আপনাকে বা আপনার ডিভাইসকে শনাক্ত করে ব্যবহার করে আপনার কার্যকলাপ ট্র্যাক করার অনুমতি নেই।”

গবেষণাটি দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট তুলে ধরেছে এবং অ্যাপল এই দাবির জবাব দিয়েছে,

“অ্যাপল বিশ্বাস করে যে ব্যবহারকারীদের কাছে ট্র্যাকিং স্বচ্ছ এবং তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা উচিত”, ফ্রেড সাইনজ বলেন। “যদি আমরা আবিষ্কার করি যে কোনো ডেভেলপার ব্যবহারকারীর পছন্দকে সম্মান করছে না, আমরা সমস্যা সমাধানের জন্য সেই ডেভেলপারের সাথে কাজ করব, নতুবা তাদের অ্যাপ স্টোর থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।”

দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট আরও বলেছে যে, অ্যাপল বলেছে যারা এই তথ্যগুলি সংগ্রহ করছে এবং তারা কীভাবে এটি ভাগ করছে তা বোঝার জন্য এই সংস্থাগুলির সাথে তারা যোগাযোগ রাখছে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ পরেও কোনো ধরনের পরিবর্তন পাওয়া যায়নি।

আমার মতে বর্তমানে আইফোন ব্যবহাকারীদের সকলের উচিত বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা এবং নিজ তথ্য যথাসম্ভব সুরক্ষিত রাখা। আপনাদের এবিষয়ে কি মত? অবশ্যই জানাবেন আমাদের।

ধন্যবাদ সকলকে।

সাবস্ক্রাইব করুন The Penguins Club খবরপত্রিকায়

প্রতি শুক্রবার বিশেষ খবর এবং আলোচনায় অংশগ্রহন করতে আপনার ইমেইল দিন।


Tagged:
About the Author

Hello World!
Jamil's here. Love to learn and write about new things, especially about tech.

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.