সম্প্রতি টুইটারের এক নিরাপত্তা গবেষক নিশ্চিত করেন যে ইলন মাস্ক মালিকানাধীন সামাজিক প্ল্যাটফর্মটি এক বড় ধরনের হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে। ইসরাইলভিত্তিক সাইবার নিরাপত্তা কোম্পানি হাডসন রকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা অ্যালন গাল লিংকড-ইনে জানান যে এই লঙ্ঘন দুর্ভাগ্যবশত বেশ কিছু সংখ্যক হ্যাকিং, ফিশিং ও ডক্সিংয়ের দিকে নিয়ে যাবে।
আর একে তিনি নিজের দেখা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফাঁস হওয়ার ঘটনা বলে আখ্যা দিয়েছেন।
সাইবার অপরাধীরা ২০ কোটির বেশি টুইটার ব্যবহারকারীর ইমেইল ঠিকানা চুরি করে এক অনলাইন হ্যাকিং ফোরামে সেগুলো পোস্ট করেছে। এই ঘটনা তদন্তে বা সমাধানে টুইটার কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে বা আদৌ নিয়েছে কি না, তা-ও পরিষ্কার নয়। ফোরামে প্রকাশিত ডেটা নির্ভর্যোগ্য বা এটি টুইটার থেকেই এসেছে কি না, সেটি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি বার্তাসংস্থা রয়টার্স। তবে, বুধবার হ্যাকার ফোরামে প্রকাশিত ডেটার বিভিন্ন স্ক্রিনশট এরইমধ্যে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে।
এমন ঘটনার নোটিফিকেশন দেওয়া বিশেষ সাইট ‘হ্যাভ আই বিন পনড’ এর নির্মাতা ট্রয় হান্ট ওইসব ফাঁস হওয়া ডেটা দেখার পর টুইটারে বলেন, হ্যাকারের বর্ণনার সঙ্গে ডেটা মেলে।
এইসব তথ্য ফাঁস করার পেছনে দায়ী হ্যাকার বা হ্যাকার দলের পরিচয় বা অবস্থান সম্পর্কে কোনো হদিস মেলেনি। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এটি সম্ভবত ২০২১ সালের শুরুতে ঘটেছিল, যা গত বছর ইলন মাস্কের কোম্পানির দখল নেওয়ার আগে।
টুইটারের ইউরোপীয় সদর দপ্তর আয়ারল্যান্ডে অবস্থিত। দেশটির নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডেটা প্রোটেকশন কমিশন বা ডিপিসি ও যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন বা এফটিসি যথাক্রমে ইউরোপীয় ডেটা সুরক্ষা আইন ও একটি মার্কিন সম্মতি আদেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য আনতে ইলন মাস্ক-মালিকানাধীন কোম্পানিটির ওপর নজরদারি করছে। বৃহস্পতিবার এই প্রসঙ্গে রয়টার্স দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার মন্তব্য জানতে চাইলে কারও কাছ থেকেই তাৎক্ষণিক জবাব মেলেনি।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এটি সম্ভবত ২০২১ সালের শুরুতে ঘটেছিল, যা গত বছর ইলন মাস্কের কোম্পানির দখল নেওয়ার আগে। এই লঙ্ঘনের আকার ও সুযোগ সম্পর্কিত বিভিন্ন দাবির মিল রয়েছে ডিসেম্বরের প্রথম দিকের অ্যাকাউন্ট ফাঁসের ঘটনার সঙ্গে। সে সময় ৪০ কোটি ইমেইল ঠিকানার পাশাপাশি ব্যবহারকারীর ফোন নাম্বারও চুরির দাবি উঠেছিল। টুইটারের তথ্য ফাঁস হওয়ার এই ঘটনা আটলান্টিকের দুই পাশেই নিয়ন্ত্রকদের মনযোগ আকর্ষণ করতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।