ওপেনএআই প্রযুক্তি আশাবাদী হয়ে প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফট এতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে। যার লাভ হিসেবে মাইক্রোসফট যোগ করছে বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চ্যাটজিপিটির মূল প্রযুক্তি জিপিটি-৪। এটি যোগ হচ্ছে বহুল ব্যবহৃত সফটওয়্যার মাইক্রোসফট ৩৬৫-এ। মাইক্রোসফট প্রধান সাত্যিয়া নাদেলা বলেন, এটি মৌলিকভাবেই তাদের কাজ করার ধরন বদলে দেবে। এই ব্যবস্থাকে ‘কোপাইলট’ নামে ডাকছে মাইক্রোসফট।
তারা আরও বলছে, এটি ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট ও আউটলুকেও যুক্ত হয়েছে। তবে কোপালট যে সব সময় সঠিকভাবে কাজ করবে এমনটিও নয়। কোপাইলট কখনও কখনও ভুলও করতে পারে, কোম্পানির এই স্বীকারোক্তির কথাও উঠে এসেছে বিবিসির প্রতিবেদনে। কোপাইলটে কিছু ফাংশন জুড়ে দেয়া হয়েছে, ফাংশনগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- মিটিং সফটওয়্যার টিমস-এ আয়োজিত কথোপকথনের মূল আলোচনার পয়েন্টগুলো সংক্ষিপ্ত করা। আর দেরিতে যোগ দেওয়া বা পুরো ইভেন্ট মিস করা ব্যক্তির জন্য এর সংক্ষিপ্ত পুনরাবৃত্তি দেওয়া।
- প্রম্পটের মাধ্যমে ছবি তৈরির সুবিধাসহ পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন তৈরি।
- ইমেইল ড্রাফটিং।
- তুলনামূলক দীর্ঘ ইমেইল বার্তা ও ডকুমেন্ট বিশ্লেষণ করা।
- এক্সেল স্প্রেডশিটে বিভিন্ন সারাংশ ও ডেটার গ্রাফ তৈরি।
গেল মঙ্গলবার, চ্যাটজিপিটিকে ক্ষমতা দেওয়া এআই মডেলের আপডেট করা সংস্করণ ‘জিপিটি-৪’ উন্মোচন করেছে ওপেনএআই। এরইমধ্যে সফটওয়্যার কোম্পানিটির পেছনে শত শত কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে মাইক্রোসফট। বিভিন্ন প্রশ্নে তুলনামূলক জটিল বা বিমূর্ত প্রশ্নেও মানুষের মতো প্রতিক্রিয়া প্রদানের সক্ষমতার কারণে গোটা বিশ্বে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে চ্যাটজিপিটি। তবে, মাঝে মাঝে এর কিছু কিছু জবাব ভুল হয় বা পুরোপুরি কাল্পনিক কোন জবাব দেখায় চ্যাটবটটি।
অফিস৩৬৫-তে মাইক্রোসফটের বসানো এই প্রযুক্তি কেবল চ্যাটজিপিটি নয়, বরং এর ল্যাংগুয়েজ-লার্নিং মডেলের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। সংস্থাটি স্বীকার করেছে, কোপাইলটও কখনও কখনও ব্যবহারযোগ্যভাবে ভুল হতে পারে। তারা সকলেই নিজেদের ২০ শতাংশ কাজের ওপর নির্ভর করতে চাই যা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। তবে ৮০ শতাংশ সময় এমন কাজে খরচ হয়, যা তাদের হতাশ করে। কোপাইলট সেই বোঝা হালকা করে বলে এক বিবৃতিতে বলেছে মাইক্রোসফট।