Reading Time: < 1 minutes

ভুয়া রিভিউ প্রকাশের জন্য ফেসবুক ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিলো অ্যামাজন। বিশ্বের অন্যতম ই-কমার্স সাইটটি মামলা করলো ফেসবুক ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে। মূলত বিভিন্ন গ্রুপ এবং পেইজে পণ্যের ভূয়া রিভিউ করার অভিযোগে ১০ হাজারেরও বেশি ফেসবুক গ্রুপ অ্যাডমিনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে অ্যামাজন।

অর্থ অথবা পণ্যের বিনিময়ে এই ভুয়া রিভিউগুলো বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে প্রকাশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইনি প্রক্রিয়ায় ভুয়া রিভিউ চিহ্নিত করে তা সরানোর কাজ করা হবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউনাইটেড কিংডম, জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি ও জাপানে অ্যামাজন স্টোরের বিভিন্ন পণ্য নিয়ে এই বিভ্রান্তিকর রিভিউগুলো পোস্ট করা হয়েছে।

অ্যামাজনের সেলিং পার্টনার সার্ভিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট ধর্মেশ মেহতা জানিয়েছেন, গ্রাহকের চোখে পড়ার আগেই তাদের দল অসংখ্য সন্দেহজনক রিভিউ তা বন্ধ করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতারকদের মুখোশ খুলতে এই মামলা আরও এক ধাপ এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে বলেও জানান তিনি। এ থেকে গ্রাহকরাও রক্ষা পাবে বিভিন্ন বিভ্রান্তি থেকে।

এই ধরনের ভুয়া পণ্যের রিভিউয়ের একটি গ্রুপে প্রায় ৪৩ হাজার সদস্য ছিলেন। চলতি বছরেই এই গ্রুপ বন্ধ করে দেয় মেটা। অ্যামাজনের তদন্তে জানা গেছে যে গ্রুপের অ্যাডমিনরা নিজেদের কার্যকলাপ লুকানোর চেষ্টা করেছিলেন। বিভিন্ন উপায়ে ফেসবুকের শনাক্তকরণ এড়াতে চেয়েছিলেন তারা। তবে এরই মধ্যে মেটা সেসব গ্রুপ ব্যান করা শুরু করেছে। এমনকি অর্ধেকের বেশি রিভিউ ইতিমধ্যেই প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে নিয়েছে সংস্থাটি।

অ্যামাজনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্মের বিভিন্ন পণ্যের ভুয়া রিভিউ ঠেকাতে তারা বদ্ধপরিকর। এই কাজে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তারদের প্রায় ১২ হাজার কর্মী কাজ করছেন। এই কর্মীরা বিভিন্ন ভুয়ো রিভিউ ও প্রতারকদের চিহ্নিত করার কাজ করেন। ২০২০ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ থেকে প্রায় ১০ হাজার ভুয়া রিভিউ শনাক্ত করেছে তারা।

সাবস্ক্রাইব করুন The Penguins Club খবরপত্রিকায়

প্রতি শুক্রবার বিশেষ খবর এবং আলোচনায় অংশগ্রহন করতে আপনার ইমেইল দিন।


Tagged:
About the Author

বিগত প্রযুক্তি বিষয়ক লেখালেখি করছি - বাংলা লেখিকা

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.