Reading Time: < 1 minutes

“অ্যামাজন স্মাইল” প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছে অ্যামাজন। ১৮ হাজার কর্মী অপসারণের কয়েক দিনের মধ্যেই দ্বিতীয় এই সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস অ্যামাজন। জানা গেছে খরচ কমাতে দ্বিতীয় এই ঘোষণার সম্পর্ক রয়েছে। অ্যামাজন স্মাইল প্রকল্পটির মাধ্যমে বিক্রিত প্রতিটি পণ্যের খরচের শতকরা আধা ভাগ যা দাতব্য সংস্থায় চলে যেত। এটি একটি ভিন্ন ওয়েবসাইট যেখান থেকে অ্যামাজনের মূল সাইটের মতোই পণ্য কেনা যায়।

আর সেই কেনাকাটার হিসাব রাখে মূল কোম্পানি এবং সেখান থেকেই ক্রেতার নামে দানের অর্থ চলে যায় কোনো দাতব্য সংস্থায়। ‘অ্যামাজন স্মাইল’ নামের প্রকল্প বন্ধ করার এই ঘোষণা নিয়ে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকক্রাঞ্চ বলছে, কোম্পানিটি যেখানেই সম্ভব অর্থ খোঁজার চেষ্টা করছে। অ্যামাজন গ্রাহকরা একটি ইমেল পেয়েছেন যাতে সিদ্ধান্তটি তাদের জানানো হয়েছে। অ্যামাজন স্মাইল ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। গত এক দশকে আমরা যেমন আশা করেছিলাম এই প্রকল্প সেই প্রভাব তৈরি করতে পারেনি।

বিশ্বব্যাপী ১০ লাখেরও বেশি যোগ্য প্রতিষ্ঠানের কারণে তারা সেই প্রভাবটি তৈরি করতে সক্ষম হননি উল্লেখ রয়েছে মেইলে। প্রকল্পটির সমাপ্তিতে দুই ধরনের প্রভাব পড়বে। প্রথমত, অ্যামাজন স্মাইলে করা কেনাকাটায় আর আধা শতাংশ আলাদা রাখতে হবে না। দ্বিতীয়ত, এই প্রকল্পে কাজ করা কিছু লোক সম্ভবত চাকরি হারাবেন প্রতিবেদনে বলেছে টেকক্রাঞ্চ। বর্তমানে অ্যামাজনের বাজার মূলধন নয়শ ৭৪ বিলিয়ন ডলার। সর্বশেষ আয় প্রতিবেদনে আড়াইশ কোটি ডলারের পরিচালন আয় দেখিয়েছে তারা।

২০১৩ সাল থেকে অ্যামাজন স্মাইল প্রকল্পের মাধ্যমে ৪০ কোটি ডলার অনুদান দিয়েছে। অপেক্ষাকৃত বড় অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সম্ভবত এই অনুদানের বড় অংশ পেয়েছে এবং সেই তুলনায় ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো কেবল কয়েক ডলার পেয়েছে বছর হিসাবে। অ্যামাজনস্মাইল প্রকল্পে অংশ নেওয়া দাতব্য সংস্থাগুলো অ্যামাজন থেকে এককালীন অনুদান তাদের তিন মাসে পাওয়া অনুদানের সমান অর্থ পাবে। এটি অলাভজনক সংস্থাগুলোর জন্য সম্ভবত অনেকটা বিদায়ী প্যাকেজ হবে।

সাবস্ক্রাইব করুন The Penguins Club খবরপত্রিকায়

প্রতি শুক্রবার বিশেষ খবর এবং আলোচনায় অংশগ্রহন করতে আপনার ইমেইল দিন।


Tagged:
About the Author

বিগত প্রযুক্তি বিষয়ক লেখালেখি করছি - বাংলা লেখিকা

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.