সম্প্রতি ইন্টারনেট দুনিয়ায় নতুন এক ভাইরাস ছড়ানোর জন্য দায়ী করা হয়েছে চীনা হ্যাকার গোষ্ঠীকে। বিপজ্জনক ভাইরাসটির নাম ‘ফোলিনা’। এ ব্যাপারে সর্তক বার্তা দিয়েছে মার্কিন টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট।
যখন থেকে বিশ্বে ইন্টারনেট এসেছে, তার সাথে সৃষ্টি হয়েছে সাইবার অপরাধী। দিন দিন ইন্টারনেটের ব্যবহারকারী বাড়ছে, তার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধ। সাইবার অপরাধীরা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করে আক্রমন চালায়। সাইবার আক্রমনে শিকার হয়ে অনেক বড় বড় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান তার সর্বস্ব হাড়াচ্ছে। এর মধ্যেই এক ভয়ঙ্কর তথ্য দিলো মাইক্রোসফ্ট।
সম্প্রতি ইন্টারনেট দুনিয়ায় নতুন এক ভাইরাস ছড়ানোর জন্য দায়ী করা হয়েছে চীনা হ্যাকার গোষ্ঠীকে। বিপজ্জনক ভাইরাসটির নাম ‘ফোলিনা’। এ ব্যাপারে সর্তক বার্তা দিয়েছে মার্কিন টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট।
মাইক্রোসফট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফোলিনা ভাইরাসের সাহায্যে চীনা হ্যাকাররা সহজেই টার্গেটেড কম্পিউটারে প্রবেশের সুযোগ পেয়ে যাতে পারে। এর জন্য হ্যাকাররা প্রথমে ডিভাইসটিতে একটি হিডেন প্রোগ্রাম ইনস্টল করে এবং কোড পরিচালনার মাধ্যমে সিস্টেমের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে বেআইনি কাজে লিপ্ত হয়।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, এই ভাইরাসের মাধ্যমে ডিভাইসে হিডেন প্রোগ্রাম ইনস্টল করার সঙ্গে সঙ্গেই হ্যাকাররা ডিভাইসের থাকা যে কোনো ফাইল দেখতে এবং পরিবর্তন করতে পারে। চাইলে ফাইল ডিলিট করেও ফেলতে পারে। এমনকি, কম্পিউটার ব্যবহারকারীর তথ্য ব্যবহার করে নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করতেও সক্ষম হচ্ছে হ্যাকাররা।
বিপদজনক ফোলিনা ভাইরাস কীভাবে ডেস্কটপ বা ল্যাপটপে ছড়িয়ে পড়ছে তা তুলে ধরেছে মাইক্রোসফট। বলা হচ্ছে, মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের মাধ্যমে ডকুমেন্ট পাঠিয়ে টার্গেট করা হচ্ছে ব্যবহারকারীদের। হ্যাকারদের পাঠানো ওয়ার্ড ফাইল ওপেন করলেই ভাইরাসটি ডিভাইসে ছড়িয়ে যাচ্ছে।
ভাইরাসটি মাইক্রোসফট অফিস ভার্সন ২০১৩ থেকে শুরু করে অফিস ২০১৯ , অফিস ২০২১, অফিস ৩৬৫ এবং অফিস প্রো প্লাস-এর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে বলে দাবি করছে মাইক্রেসফট।